ডেক্সটপ ও ল্যাপটপের তুলনা
ল্যাপটপের তুলনায় ডেস্কটপের সুবিধা আছে, যেহেতু বিভিন্ন আনুষঙ্গিক অংশ এবং সম্প্রসারন উপযোগী যন্ত্রগুলো সাধারন মানের করা হয়, ফলত এগুলো বাজারে পাওয়া যায় এবং দামও কম হয়। উদাহরনসরূপ, মাদারবোর্ডের আকার এবং বসানোর সাধারণ মান হল এটিএক্স, মাইক্রোএটিএক্স, বিটিএক্স ও অন্যান্য। আরও আছে সম্প্রসারনের জন্য স্লট যেমন পিসিআই বা পিসিআই এক্সপ্রেস যেখানে ল্যাপটপে শুধু একটি মিনি পিসিআই স্লট বা একটি পিসি কার্ড বা পিসি এক্সপ্রেস কার্ড স্লট থাকে। ডেস্কটপের লাগানো বা খোলা একদম সহজ ল্যাপটপের তুলনায়। ল্যাপটপের কোন অংশ নতুন করে লাগাতে গেলে ঝামেলা করতে হয় তবে অপটিক্যাল ড্রাইভ, হার্ড ড্রাইভ অথবা নতুন র্যাম লাগাতে সমস্যা হয় না। তাই গেম প্রেমীদের এবং বিলাসী কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কাছে ডেস্কটপই জনপ্রিয়।
আরেকটি ডেস্কটপের সুবিধা হল বিদ্যুতের ব্যবহার। ডেস্কটপে বিদ্যুতের ব্যবহারের নকশা ল্যাপটপের মত জটিল নয়, কারণ ডেস্কটপকে বাহিরের দেয়ালের সকেট থেকে বিদ্যুত দেয়া হয়। ডেস্কটপে বেশি জায়গা পাওয়া যায় ফ্যানের জন্য এবং বাতাস আসা যাওয়া করার জন্য। এতে করে তাপ সহজে বের হতে পারে, ঝুকি কমে যায়। দুটি বড় মাপের মাইক্রোপ্রসেসর নির্মাতা, ইন্টেল এবং এএমডি, ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপের জন্য আলাদা মাইক্রোপ্রসেসর তৈরী করেছে তাদের কার্য পরিচালনার সময় বিদ্যুতের ব্যবহার করার উপর ভিত্তি করে। ল্যাপটপের সিপিইউ কম বিদ্যুত ও তাপ উৎপন্ন করে ডেস্কটপের তুলনায়।
বিপরীতভাবে, ল্যাপটপ বহনযোগ্যতা দেয় ডেস্কটপে যা সম্ভব নয়। কারণ এগুলো বড় এবং ভারি হয়। ল্যাপটপ এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সুবিধা দেয়। এতে কোন বাড়তি বিদ্যুতও লাগে না কারণ ব্যটারি দ্বারা এটি চালিত হতে পারে।
ল্যাপটপে তারবিহিন প্রযুক্তি দেয়া হয় যেমন ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, ৩জি যাতে করে ইন্টারনেট ও অন্যান্য যুক্ত করার ব্যবস্থা সহজ হয়। কিন্তু ডেস্কটপে এই সুবিধা অপ্রতুল। বর্তমানে কিছু কিছু ডেস্কটপে এই ধরনের একটি দুটি সুবিধা পাওয়া যায়।
একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারের ইউপিএস প্রয়োজন হয় বৈদ্যুতিক উঠা নামা, শর্ট সার্কিট, ব্ল্যাকআউট এবং স্ফুলিঙ্গ প্রভৃতি সমস্যা মোকাবেলার জন্য। তাছাড়া ডেস্কটপের জন্য ইউপিএস হতে হয় ২০-৩০ মিনিট ধরে চলতে পারে এমন ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যটারির, যেগুলো আবার দামি হয়। ল্যাপটপে এমন সমস্যা হয় না। ল্যাপটপের ব্যাটারি একবার চার্জেই কয়েক ঘণ্টা চলতে পারে।